বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৩:২০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তুতি সভা কলাপাড়ায় নদী থেকে ভাসমান লাশ উদ্ধার কলাপাড়া বাজার আয়োজিত  ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন কলাপাড়ায় বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক সাড়ে ১২ মন মাছ জব্দ কলাপাড়ায় ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মেগা প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন কলাপাড়ায় খালের উপর অবৈধভাবে নির্মিত ৭টি স্থাপনা উচ্ছেদ কুয়াকাটায় নানা আয়োজনে বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন বাকেরগঞ্জে স্বামী স্ত্রীর দ্বন্দ্বের ঘটনায় সাবেক এমপিকে জড়ানোয় বিএনপির উদ্বেগ অপারেশন ডেভিল হান্ট” কলাপাড়ায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ গ্রেফতার-৬ কুয়াকাটায় পর্যটক হেনেস্তাকারী যুবদল সভাপতি বহিষ্কার টুরিষ্ট ভিসায় জেল খেটে বিদেশ ফেরত মকছুদ।কলাপাড়ায় দুই  প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা কলাপাড়া বিএনপির সাবেক সভাপতি’র দলবদল কলাপাড়ায় খাল থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চরশিবা সাংগঠনিক ইউনিয়ন শাখার উদ্দ্যোগে  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গলাচিপায় ভিক্ষুক পরিবারটি চায় প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘর

গলাচিপায় ভিক্ষুক পরিবারটি চায় প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘর

Sharing is caring!

মোঃনাসির উদ্দীন পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর গলাচিপায় অসহায় ভিক্ষুক পরিবারটি আজও প্রধানমন্ত্রীর ঘরের আশায় বুক বেঁধে আছে। গোলখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ছোট গাবুয়া গ্রামের ফোরকান খার স্ত্রী মোমেলা বেগম (৬৫) ভিক্ষা বৃত্তি করে সংসার চালান।

তার স্বামী ফোরকান খা দীর্ঘ ৩৩ বছর পূর্বে ৮ মাসের একটি ছেলে সন্তান রেখে নিখোঁজ হয়ে যান। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নি। তারপর থেকেই মোমেলা বেগম অসহায় শ্বশুর-শ্বশুরী ও সন্তানের দায়িত্ব তুলে নিয়ে বাধ্য হয়ে তিনি ভিক্ষা করা শুরু করেন। সেই থেকেই জীবনের চড়াই উৎড়াই পেরিয়ে এসেছেন মোমেলা বেগম। ভিক্ষা করে অভাব নামের সংসারটি পরিচালনা করেন।

প্রতিদিন সকাল হলেই নেমে পড়েন মানুষের দ্বারে দ্বারে দুমুঠো খাবারের জন্য। পাশাপাশি তিনি একই গ্রামের খন্দকার বাড়িতে ৩০ বছর যাবৎ গৃহ পরিচারিকার কাজ করে আসছেন। মোমেলার শ্বশুর-শ্বশুরী ও স্বামীর কোন জায়গা-জমি না থাকায় খন্দকার পরিবারটি তাকে ৩ শতক জায়গা দান করেন। মোমেলা বেগম ওই জমিতেই ছাপড়া দিয়ে বসবাস করেন। বয়স হয়ে যাওয়ায় তিনি ভিক্ষা করা বন্ধ করে দেন। মাঝে মাঝে মানুষের বাড়িতে ধান ভাংগা, ধান শুকানো অথবা ধান মলানোর কাজ করেন। মোমেলা বেগমের ছেলে রেজাউল খা (৩২) রিক্সা চালিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন। তার একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। এ বিষয়ে মোমেলা বেগম বলেন, আমার তিন শতাংশ জমি আছে। আমার নেই কোন ঘর।

জীবনে কোনদিন ঘর তুলতে পারবো কিনা জানি না। আমার ছেলেটি রিক্সা চালায়। আমার পরিবারের সদস্য সংখ্যা চার জন। শুনেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যাদের জায়গা আছে ঘর নাই তাদের ঘর দিতেছেন। আমিও যদি একটি ঘর পেতাম তাহলে মরার আগেও অন্তত একটু শান্তি পেতাম। এ বিষয়ে রেজাউলের স্ত্রী রেকসনা বেগম বলেন, বৃষ্টি এলেই আমরা বিছানা গুছিয়ে এককোনে বসে থাকতে হয়। স্বামীর অভাবের সংসারে কষ্টে বুকটা ফেটে যায়।

আমার স্বামী কোনদিন ঘর তুলে আমাদের শীত এবং বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে পারবে কিনা জানি না। ইউপি সদস্য রবিউল আকন বলেন, আসলেই মোমেলা বেগম অসহায় জীবন যাপন করছে। তাদের থাকার মত তেমন ঘর নাই। তারা যদি একটি ঘর পায় তাহলে হয়ত পরিবারটির একটু মাথা গোঁজার মত ঠাঁই হবে। গোলখালী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আসলেই ওরা গরীব এবং অসহায়। ওদের একটা সরকারি ঘরের প্রয়োজন।

একটি ঘর পেলে সুন্দরভাবে জীবন গড়তে পারবে দরিদ্র পরিবারটি। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ. হালিম হাওলাদার বলেন, মোমেলা বেগম অনেক বছর ধরেই মানুষের বাড়িতে বাড়িতে ভিক্ষা করে সংসার চালিয়েছেন। সরকারিভাবে একটি ঘর তার প্রয়োজন।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD